রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আহতদের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন হত্যাসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) গঙ্গাচড়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় বিএনপি। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে উপজেলার পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীরা।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ও দোকান উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক মিলে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল মেরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন রায়হান বলেন, বর্তমানে গঙ্গাচড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গঙ্গাচড়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কারো মাথা ফেটে গেছে, কারও হাত-পা কেটে গেছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।